মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ইটখোলা বাজারের পিছনের মাঠের মধ্যে মাছের ঘেরে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। মোছাঃ সোনিয়া খাতুন (৪৫), স্বামী- মোঃ কামরুল হাসান, সাং আবালপুর, থানা ও জেলা মাগুরা। মাগুরা সদর থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইটখোলা বাজারের উত্তর পার্শ্বে কামরুল মোল্লার একটি মাছের ঘের আছে। উক্ত মাছের ঘেরে বিভিন্ন জাতের মাছ আছে। বিবাদী মোঃ শাহ আলম (৪৫), পিং মৃত আকতারুজ্জামান সুরুজ, মোঃ বাহারুজ্জামান বাহার (৫৫), পিং মৃত বাকী মোল্যা, মোঃ সেলিম মোল্যা (৪৫), পিং মোঃ মৃত নওশের মোল্যা, মোছাঃ লিপি খাতুন (৫০), পিং মৃত আকতারুজ্জামান সুরুজ, সর্ব সাং- আবালপুর, থানা ও জেলা মাগুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে যে, বিবাদীদের স্বভাব চরিত্র ভালো না। সকল বিবাদীরা হুমকি প্রদর্শন করে কামরুল মোল্লার মাছের ঘেরে থাকা মাছ মেরে নিবে এবং গাছ কেটে নিবে বলে ভয়ভীতি দেখায় এবং বাহার মোল্লা চাঁদা বাবদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে। গত ০৯/০৯/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল ১০ টার সময় মাছের ঘেরে যায় এবং ঘের থেকে বিভিন্ন জাতের মাছ মেরে নেয় ও মাছের ঘেরে থাকা ঘর ভাংচুর করে। এরপর মাছ মারা জাল, মটর, স্যালোমেশিন, মাছের খাবার, কারেন্টের মিটারসহ যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়এবং মূল্যবান গাছ পালা কেটে নিয়ে যায়। কামরুল মোল্লার পরিবার বর্তমান অসাহায় মানবতার জীবন যাপন করছে। তারা মাগুরা প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চাচ্ছে। প্রকাশ থাকে যে, বিবাদীরা হুমকি দিয়ে বলে চাঁদার টাকা না দিলে সোনিয়াসহ তাদের পরিবারের সকলকে মেরে ফেলবে বলে ভয়ভীতি দেখায়।
কামরুল মোল্লা এবিষয়ে মোবাইল ফোনে জানান, আমার ঘের লুটপাট ও ভাংচুর হয়ে গেছে। আর টাকার বিষয়ে বলেন বাহার মোল্লা আমার কাছে কোন টাকা পাবে না।
এবিষয়ে বাহারুজ্জামান বাহার মোল্লা মোবাইল ফোনে জানান, কামরুল মোল্লার সাথে ব্যবসা করতাম আমি তার কাছে ১৪ লাখ টাকা পাবো এবং এই টাকার সমস্ত ডকুমেন্টস আমার কাছে সংগ্রহে আছে। তিনি আরও জানান মাছের ঘেরে লুটপাট ও ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
গোপন সূত্রে জানা যায়, শাহআলম ঐ ঘেরের মধ্যে জমির অংশের মালিক আর লিপি খাতুন এখন শারীরিক ভাবে রোগাক্রান্ত।
Leave a Reply